EPS/ইপিএস কথার অর্থ হচ্ছে Earning per share বা শেয়ার প্রতি আয়। কোন কম্পানি একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ লাভ করে তাকে তাকে মার্কেটের মোট শেয়ারে ভাগ করে দিলে যা আসে তাই হল সহজ কথায় EPS/ইপিএস. ধরুন "ক" কম্পানির EPS/ইপিএস হচ্ছে ৩৪। এর অর্থ তাদের প্রতি শেয়ারে ৩৪ টাকা লাভ হয়েছে।
উপরের কম্পানিটি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন এদের প্রথম ৩ মাসে EPS ছিল ৫.০৬, এর পরের ৩+৩=৬ মাসে ৮.৫৫ এবং এর পরের ৩+৩+৩=৯ মাসে ১২.৬৯ । এখানে পুরা বছরের EPS টা এখনো আসে নি। তবুও আমরা ধারণা করে বের করতে পারি এই কম্পানির পুরো বছরের EPS কত হতে পারে। যেহেতু ৯ মাসে এর EPS ১২.৬৯ তাই ১২ মাসে হবে ১২.৬৯*(৪/৩)= ১৬.৯২।অর্থ্যাৎ শেষের কোয়ার্টারে EPS আসবে ১৬.৯২-১২.৬৯=৪.২৩ । এটা একটা গড় হিসাব। কিন্তু দেখা যায় আসল হিসেবেও খুব বেশি হেরফের হয় না। যদি না কম্পানি খুব বেশি লাভ বা লস করে। তাই ৯ মাসের EPS জানলে খুব সহযেই আমরা টোটাল বছরেরটা বের করতে পারি যা শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।