Sunday, September 11, 2011

প্রাইমারি মার্কেট আর সেকেন্ডারি মার্কেট কি? বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে প্রাইমারি আর সেকেন্ডারি মার্কেটে কিভাবে ব্যবসা করে

primary secondery share,প্রাইমারি সেকেন্ডারি শেয়ার, forex ,currency, earn, money, share market,stock
Primary and Secondary stock/share business
বাংলাদেশের শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতে গেলে আপনি দুই ভাবে করতে পারেন।
এক প্রাইমারি শেয়ারের মাধ্যমে এবং
দুই সেকেন্ডারি শেয়ারের মাধ্যমে।
        প্রাইমারি শেয়ারঃ বাজারে কোন কম্পানি প্রথম প্রাইমারি শেয়ারের মাধ্যমে প্রবেশ করে। অর্থাৎ নতুন কোন কম্পানিকে বাজারে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে তাকে প্রথমে প্রাইমারি শেয়ার ছাড়তে হবে। শোনা যায় সবাই বলে প্রাইমারি শেয়ারে কোন লস নাই। সেকেন্ডারি শেয়ারে প্রচুর রিস্ক। এরকম কথা তারা কেন বলে আসুন জেনে নেই। প্রতিটি কম্পানির শেয়ারের একটা ফেস ভ্যালু থাকে। কম্পানি যখন তার শেয়ারটি মার্কেটে ছাড়তে চায় তখন সে ফেস ভ্যালুর সাথে প্রিমিয়াম যোগ করে একটি নির্দিষ্ট টাকায় শেয়ারটি অফার করে। এসইসি যদি অনুমোদন দেয় তবে তারা তাদের শেয়ার কেনার জন্য দরখাস্ত আহ্বান করে। যাকে আমরা IPO/আইপিও বা ইনিশিয়াল পাবলিক অফার বলে থাকি। ধরা যাক কোন কম্পানির ফেস ভ্যালু ১০ টাকা এবং তারা ৫ টাকা প্রিমিয়াম সহ শেয়ারের দাম নির্ধারণ করল ১৫ টাকা। এখন আপনি যদি ঐ শেয়ার IPO এর মাধ্যমে পেয়ে থাকেন তবে আপনার প্রতি শেয়ারে দাম পরে ১৫ টাকা। আপনি এখন ইচ্ছা করলে এই শেয়ার সেকেন্ডারি মার্কেটে বিক্রি করতে পারবেন। সাধারনত দেখা যায় প্রাইমারি শেয়ারের যে দাম তার তুলনায় সেকেন্ডারি মার্কেটে এর দাম বেশি হয়ে থাকে। আপনার শেয়ারটি যদি সেকেন্ডারি মার্কেটে ২৫ টাকায় ওপেন হয় তবে আপনি তখন বিক্রি করলে প্রতি শেয়ারে ১০ টাকা লাভ পেয়ে যাবেন। আপনি যদি মনে করেন এই কম্পানি সামনে আরো ভাল করবে তবে প্রাইমারিতে প্রাপ্ত শেয়ার আপনি অনেক দিন ধরেও রাখতে পারেন পরবর্তিতে বেসি দামে বিক্রির জন্য। আবার মনে করুন আপনি যে কম্পানির প্রাইমারি শেয়ার কিনতে চাচ্ছেন তার প্রিমিয়াম অনেক বেশি। তাহলে সেকেন্ডারি মার্কেটে আপনি যে দামে শেয়ার কিনেছেন তার তুলনায় দাম কমেও ওপেন হতে পারে। তাই প্রাইমারি শেয়ার মানেই লাভ না মনে করে কম্পানিটি কি দামে শেয়ার ছাড়ছে প্লাস কম্পানির আয় কেমন অর্থাৎ কম্পানিটি ভাল কিনা তা যাচাই করে কিনুন।

             সেকেন্ডারি শেয়ারঃ প্রাইমারি শেয়ার যখন কেউ বিক্রি করে দেয় তখন তা সেকেন্ডারি শেয়ারে পরিনত হয়। সেকেন্ডারি শেয়ার বাজারে ব্যবসা করতে হলে আপনার শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকতে হবে। অর্থাৎ আপনাকে ব্যবসা করার জন্য ফান্ডামেন্টাল প্লাস টেকনিক্যাল এনালাইসিস সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। এ ধারনা অর্জন করতে পারলে শেয়ার ব্যবসায় আপনি ভাল লাভ করতে পারবেন। আর আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদে শেয়ারে ব্যবসা করেন এবং একে পেশা বা বাড়তি ইনকামের সোর্স হিসেবে ব্যবহার করতে চান তবে সেকেন্ডারি মার্কেট খুবই উত্তম যায়গা।
তবে একটা কথা বিশেষ ভাবে বলতে চাই কেউ যদি মনে করেন শেয়ার ব্যবসার মাধ্যমে রাতারাতি ধনী হয়ে যাবেন তাদের এ ব্যবসায় আসতে আমি নিষেধ করব। প্রতি ব্যবসাতেই লাভ লস থাকে এবং পরিশ্রমের দরকার। তাই যথেষ্ট মেধা ও বুদ্ধি খাটিয়ে ধীরেধীরে আপনি শেয়ার মার্কেটে অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল প্রফিট করতে পারবেন এ আশ্বাস আমি দিতে পারি।

Saturday, September 4, 2010

ব্রোকার দিয়ে শেয়ার কিভাবে কেনে-১

যারা শেয়ার মার্কেটে একেবারেই নতুন তাদের জন্য পোস্টটি। শেয়ার ব্যবসা করতে গেলে প্রথমেই তাদের মনে প্রশ্ন আসে কিভাবে টাকা দিয়ে শেয়ার কিনব, টাকা কি ব্যাংকে দিতে হবে, কাকে টাকা দিব বা আমিও বা কিভাবে আমার লাভের টাকা পাব। প্রথমেই বলেছি যারা একেবারে abc দিয়ে শুরু করতে চায় তাদের জন্য এই পোস্ট। শেয়ার ব্যবসা করতে হলে প্রথমেই আপনাকে কোন একটি ব্রোকারে গিয়ে BO account খুলতে হবে। BO account খুললে আপনাকে ঐ ব্রোকার হাউস থেকে একটা ব্রোকার নম্বর ও BO account নাম্বার দিবে। আসলে শেয়ার বেচাকেনার জন্য ঐ ব্রোকার নাব্বারটাই দরকার BO account নাম্বারটা লাগে না। BO account নাম্বার লাগে খালি প্রাইমারি শেয়ারের জন্য। প্রাইমারি শেয়ার কেনা নিয়ে আরেকদিন আরেকটা পোস্ট দিব। যাই হোক একাউন্ট খোলার পর আপনাকে ঐ ব্রোকারে টাকা জমা দিতে হবে। টাকা আপনি নগদ ক্যাশ বা চেকে দিতে পারেন। ব্রোকারে দেখবেন সবাই একটা লোককে শেয়ারের দাম জিজ্ঞাসা করছে এবং সে কম্পিউটার দিয়ে দাম বলছে ও দেখছে।  টাকা জমা দেবার পর আপনি যদি শেয়ার কিনতে চান তবে ঐ লোকটাকে জিজ্ঞাসা করুন, যে শেয়ার কিনতে চান তার দাম কত। তারপরে ঐ দামে যদি শেয়ার কিনতে চান তাহলে বলবেন অমুক কম্পানি ৫০০ কিনেন। তখন ঐ লোক আপনার কাছে আপনার ব্রোকার নাম্বারটি চাইলে তা দিন। আরেকটু সহজভাবে বলি মনে করেন আপনি BDCOM এর ১ লট কিনতে চান তখন বলবেন BDCOM ৫০০ কেনেন (যেহেতু BDCOM এর লট ৫০০ টায়) বা ২ লট কিনতে চাইলে বলেন BDCOM ১০০০ কেনেন। কিংবা DUTCHBANGLA ১ লট কিনতে চাইলে বলবেন ৫০ টা DUTCHBANGLA কেনেন। মনে রাখবেন ব্রোকারে কিন্তু শেয়ার বেচা কেনার সময় লট হিসেবে বলে না। আপনাকে লট এর গুণিতক আকারে সংখ্যায় বলতে হবে। আবার বিক্রি করার সময়ও এভাবে বিক্রি করবেন। শেয়ার কিনলে বা বিক্রি করলে আপনাকে কোন কাগজপত্র দেয়া হবে না। অটোমেটিক ঐ শেয়ার আপনার একাউন্টে জমা হয়ে যাবে এবং আপনার একাউন্ট থেকে টাকা মাইনাস হয়ে যাবে। আপনি চাইলে তাদের কাছ থেকে পোর্টফলিও প্রিন্ট করে নিতে পারেন। পোর্টফলিও লাগলে আপনি ঐ একই ব্যক্তিকে আপনার ব্রোকার নাব্বারটি দিয়ে বলুন পোর্টফলিও প্রিন্ট দিতে। দেখবেন তার কাছাকাছি কোন প্রিন্টার থেকেই একটা কাগজ প্রিন্ট হয়ে বেরিয়ে আসছে। প্রিন্ট হয়ে গেলে নিজে গিয়েই কাগজটা প্রিন্টার থেকে ছিড়ে নিন। পোর্টফলিও প্রিন্ট করতে কোন টাকা লাগে না।তাই যতখুশি প্রিন্ট করতে পারেন। :)

চলবে..................

Thursday, July 29, 2010

শেয়ার মার্কেটে EPS/ইপিএস বলতে কি বুঝায় এবং কিভাবে বাৎসরিক EPS/ইপিএস হিসেব করে?

EPS/ইপিএস কথার অর্থ হচ্ছে Earning per share বা শেয়ার প্রতি আয়। কোন কম্পানি একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ লাভ করে তাকে তাকে মার্কেটের মোট শেয়ারে ভাগ করে দিলে যা আসে তাই হল সহজ কথায় EPS/ইপিএস. ধরুন "ক" কম্পানির EPS/ইপিএস হচ্ছে ৩৪। এর অর্থ তাদের প্রতি শেয়ারে ৩৪ টাকা লাভ হয়েছে।
share market, forex, currency, earn moneyউপরের কম্পানিটি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন এদের প্রথম ৩ মাসে EPS ছিল ৫.০৬, এর পরের ৩+৩=৬ মাসে ৮.৫৫ এবং এর পরের ৩+৩+৩=৯ মাসে ১২.৬৯ । এখানে পুরা বছরের EPS টা এখনো আসে নি। তবুও আমরা ধারণা করে বের করতে পারি এই কম্পানির পুরো বছরের EPS কত হতে পারে। যেহেতু ৯ মাসে এর EPS ১২.৬৯ তাই ১২ মাসে হবে ১২.৬৯*(৪/৩)= ১৬.৯২।
অর্থ্যাৎ শেষের কোয়ার্টারে EPS আসবে ১৬.৯২-১২.৬৯=৪.২৩ । এটা একটা গড় হিসাব। কিন্তু দেখা যায় আসল হিসেবেও খুব বেশি হেরফের হয় না। যদি না কম্পানি খুব বেশি লাভ বা লস করে। তাই ৯ মাসের EPS জানলে খুব সহযেই আমরা টোটাল বছরেরটা বের করতে পারি যা শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শেয়ার কেনার আগে যা যা দেখে নেয়া উচিত।

শেয়ার কেনার আগে অবশ্যই ইনভেস্টরকে কিছু জিনিস দেখে বিবেচন আকরে শেয়ার কেনা উচিত। হুট করে না বুঝে শেয়ার কেনার কোন মানেই হয় না। তাতে হয়তোবা মাঝে মধ্যে লাভ হতে পারে কিন্তু লসের চান্সই বেশি। যাই হোক
প্রথমেই আপনাকে দেখতে হবে শেয়ারটি কোন ক্যাটাগরির। চেস্টা করবেন A অথবা ভাল কম্পানি হলে N ক্যাটাগরির শেয়ার কিনতে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন A ক্যাটাগরির শেয়ার সবসময় ভাল নাও হতে পারে। ঐ বছর তাদের ব্যাবসা খারাপও যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত দেখে নিন কম্পানির EPS ( Earning per share) কত? Eps যদি কম হয় তবে ঐ শেয়ার কেনা কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যে কম্পানির শেয়ারের নিজস্ব কোন ইনকাম নেই সেই শেয়ারের দাম কিভাবে বাড়বে? আর যদিও ঐ শেয়ারের দাম বাড়তি থাকে তবে ধরে নিবেন নিশ্চয়ই কোথাও কোন সমস্যা আছে। অর্থাৎ ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। ;-)

তৃতীয়ত দেখে নিন ঐ শেয়ারের PE (Profit earning ratio) কত। যে শেয়ারের PE যত বেশি সেই শেয়ার তত অতি মূল্যায়িত। আমাদের মার্কেটে ২৫ এর চেয়ে বেশি PE কে ঝূকিপূর্ণ ধরা হয়।

তাই শেয়ার কেনার আগে অন্তত এই তিনটি বিষয় বিবেচনা করে শেয়ার কিনুন। Happy trading.

Wednesday, July 28, 2010

বিভিন্ন শেয়ারের ক্যাটাগরি বা শেয়ারের শ্রেণী বিভাগ

আমাদের বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে যে সকল শেয়ার রয়েছে তাদেরকে ৫ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।
A - যারা নিয়মিত AGM (Annual General Meeting) করে ও ১০% এর বেশি লভ্যাংশ প্রদান করে।
B -যারা নিয়মিত AGM (Annual General Meeting) করে কিন্তু ১০% এর কম লভ্যাংশ প্রদান করে।
G - বাজারে আসা নতুন কম্পানি কিন্তু এখনো কম্পানি চালু হয় নি।
N - বাজারে নতুন আসা কম্পানি।
Z - অনিয়মিত AGM ও লভ্যাংশ প্রদান করে না।

তাই শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই এটি দেখে নেয়া উচিত।