Saturday, September 4, 2010

ব্রোকার দিয়ে শেয়ার কিভাবে কেনে-১

যারা শেয়ার মার্কেটে একেবারেই নতুন তাদের জন্য পোস্টটি। শেয়ার ব্যবসা করতে গেলে প্রথমেই তাদের মনে প্রশ্ন আসে কিভাবে টাকা দিয়ে শেয়ার কিনব, টাকা কি ব্যাংকে দিতে হবে, কাকে টাকা দিব বা আমিও বা কিভাবে আমার লাভের টাকা পাব। প্রথমেই বলেছি যারা একেবারে abc দিয়ে শুরু করতে চায় তাদের জন্য এই পোস্ট। শেয়ার ব্যবসা করতে হলে প্রথমেই আপনাকে কোন একটি ব্রোকারে গিয়ে BO account খুলতে হবে। BO account খুললে আপনাকে ঐ ব্রোকার হাউস থেকে একটা ব্রোকার নম্বর ও BO account নাম্বার দিবে। আসলে শেয়ার বেচাকেনার জন্য ঐ ব্রোকার নাব্বারটাই দরকার BO account নাম্বারটা লাগে না। BO account নাম্বার লাগে খালি প্রাইমারি শেয়ারের জন্য। প্রাইমারি শেয়ার কেনা নিয়ে আরেকদিন আরেকটা পোস্ট দিব। যাই হোক একাউন্ট খোলার পর আপনাকে ঐ ব্রোকারে টাকা জমা দিতে হবে। টাকা আপনি নগদ ক্যাশ বা চেকে দিতে পারেন। ব্রোকারে দেখবেন সবাই একটা লোককে শেয়ারের দাম জিজ্ঞাসা করছে এবং সে কম্পিউটার দিয়ে দাম বলছে ও দেখছে।  টাকা জমা দেবার পর আপনি যদি শেয়ার কিনতে চান তবে ঐ লোকটাকে জিজ্ঞাসা করুন, যে শেয়ার কিনতে চান তার দাম কত। তারপরে ঐ দামে যদি শেয়ার কিনতে চান তাহলে বলবেন অমুক কম্পানি ৫০০ কিনেন। তখন ঐ লোক আপনার কাছে আপনার ব্রোকার নাম্বারটি চাইলে তা দিন। আরেকটু সহজভাবে বলি মনে করেন আপনি BDCOM এর ১ লট কিনতে চান তখন বলবেন BDCOM ৫০০ কেনেন (যেহেতু BDCOM এর লট ৫০০ টায়) বা ২ লট কিনতে চাইলে বলেন BDCOM ১০০০ কেনেন। কিংবা DUTCHBANGLA ১ লট কিনতে চাইলে বলবেন ৫০ টা DUTCHBANGLA কেনেন। মনে রাখবেন ব্রোকারে কিন্তু শেয়ার বেচা কেনার সময় লট হিসেবে বলে না। আপনাকে লট এর গুণিতক আকারে সংখ্যায় বলতে হবে। আবার বিক্রি করার সময়ও এভাবে বিক্রি করবেন। শেয়ার কিনলে বা বিক্রি করলে আপনাকে কোন কাগজপত্র দেয়া হবে না। অটোমেটিক ঐ শেয়ার আপনার একাউন্টে জমা হয়ে যাবে এবং আপনার একাউন্ট থেকে টাকা মাইনাস হয়ে যাবে। আপনি চাইলে তাদের কাছ থেকে পোর্টফলিও প্রিন্ট করে নিতে পারেন। পোর্টফলিও লাগলে আপনি ঐ একই ব্যক্তিকে আপনার ব্রোকার নাব্বারটি দিয়ে বলুন পোর্টফলিও প্রিন্ট দিতে। দেখবেন তার কাছাকাছি কোন প্রিন্টার থেকেই একটা কাগজ প্রিন্ট হয়ে বেরিয়ে আসছে। প্রিন্ট হয়ে গেলে নিজে গিয়েই কাগজটা প্রিন্টার থেকে ছিড়ে নিন। পোর্টফলিও প্রিন্ট করতে কোন টাকা লাগে না।তাই যতখুশি প্রিন্ট করতে পারেন। :)

চলবে..................

Thursday, July 29, 2010

শেয়ার মার্কেটে EPS/ইপিএস বলতে কি বুঝায় এবং কিভাবে বাৎসরিক EPS/ইপিএস হিসেব করে?

EPS/ইপিএস কথার অর্থ হচ্ছে Earning per share বা শেয়ার প্রতি আয়। কোন কম্পানি একটি নির্দিষ্ট সময়ে যে পরিমাণ লাভ করে তাকে তাকে মার্কেটের মোট শেয়ারে ভাগ করে দিলে যা আসে তাই হল সহজ কথায় EPS/ইপিএস. ধরুন "ক" কম্পানির EPS/ইপিএস হচ্ছে ৩৪। এর অর্থ তাদের প্রতি শেয়ারে ৩৪ টাকা লাভ হয়েছে।
share market, forex, currency, earn moneyউপরের কম্পানিটি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন এদের প্রথম ৩ মাসে EPS ছিল ৫.০৬, এর পরের ৩+৩=৬ মাসে ৮.৫৫ এবং এর পরের ৩+৩+৩=৯ মাসে ১২.৬৯ । এখানে পুরা বছরের EPS টা এখনো আসে নি। তবুও আমরা ধারণা করে বের করতে পারি এই কম্পানির পুরো বছরের EPS কত হতে পারে। যেহেতু ৯ মাসে এর EPS ১২.৬৯ তাই ১২ মাসে হবে ১২.৬৯*(৪/৩)= ১৬.৯২।
অর্থ্যাৎ শেষের কোয়ার্টারে EPS আসবে ১৬.৯২-১২.৬৯=৪.২৩ । এটা একটা গড় হিসাব। কিন্তু দেখা যায় আসল হিসেবেও খুব বেশি হেরফের হয় না। যদি না কম্পানি খুব বেশি লাভ বা লস করে। তাই ৯ মাসের EPS জানলে খুব সহযেই আমরা টোটাল বছরেরটা বের করতে পারি যা শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শেয়ার কেনার আগে যা যা দেখে নেয়া উচিত।

শেয়ার কেনার আগে অবশ্যই ইনভেস্টরকে কিছু জিনিস দেখে বিবেচন আকরে শেয়ার কেনা উচিত। হুট করে না বুঝে শেয়ার কেনার কোন মানেই হয় না। তাতে হয়তোবা মাঝে মধ্যে লাভ হতে পারে কিন্তু লসের চান্সই বেশি। যাই হোক
প্রথমেই আপনাকে দেখতে হবে শেয়ারটি কোন ক্যাটাগরির। চেস্টা করবেন A অথবা ভাল কম্পানি হলে N ক্যাটাগরির শেয়ার কিনতে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন A ক্যাটাগরির শেয়ার সবসময় ভাল নাও হতে পারে। ঐ বছর তাদের ব্যাবসা খারাপও যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত দেখে নিন কম্পানির EPS ( Earning per share) কত? Eps যদি কম হয় তবে ঐ শেয়ার কেনা কি বুদ্ধিমানের কাজ হবে। যে কম্পানির শেয়ারের নিজস্ব কোন ইনকাম নেই সেই শেয়ারের দাম কিভাবে বাড়বে? আর যদিও ঐ শেয়ারের দাম বাড়তি থাকে তবে ধরে নিবেন নিশ্চয়ই কোথাও কোন সমস্যা আছে। অর্থাৎ ডাল মে কুছ কালা হ্যায়। ;-)

তৃতীয়ত দেখে নিন ঐ শেয়ারের PE (Profit earning ratio) কত। যে শেয়ারের PE যত বেশি সেই শেয়ার তত অতি মূল্যায়িত। আমাদের মার্কেটে ২৫ এর চেয়ে বেশি PE কে ঝূকিপূর্ণ ধরা হয়।

তাই শেয়ার কেনার আগে অন্তত এই তিনটি বিষয় বিবেচনা করে শেয়ার কিনুন। Happy trading.

Wednesday, July 28, 2010

বিভিন্ন শেয়ারের ক্যাটাগরি বা শেয়ারের শ্রেণী বিভাগ

আমাদের বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে যে সকল শেয়ার রয়েছে তাদেরকে ৫ টি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে।
A - যারা নিয়মিত AGM (Annual General Meeting) করে ও ১০% এর বেশি লভ্যাংশ প্রদান করে।
B -যারা নিয়মিত AGM (Annual General Meeting) করে কিন্তু ১০% এর কম লভ্যাংশ প্রদান করে।
G - বাজারে আসা নতুন কম্পানি কিন্তু এখনো কম্পানি চালু হয় নি।
N - বাজারে নতুন আসা কম্পানি।
Z - অনিয়মিত AGM ও লভ্যাংশ প্রদান করে না।

তাই শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করার আগে অবশ্যই এটি দেখে নেয়া উচিত।

শেয়ার মার্কেটের বিভিন্ন শেয়ারের দাম কিভাবে পড়ব ?

শেয়ারের দাম দেখা, forex ,currency, earn, money, share market
শেয়ার মার্কেটের বিভিন্ন কম্পানির শেয়ারের দাম ডিএসইর ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়।এখানে বিভিন্ন কম্পানির শেয়ারের দামের বিবরণ উপরের ছবির মত দেয়া থাকে। আসুন এবার শিখে নেই কিভাবে এই তথ্য গুলো পড়ব।
১। Last Trade: এই কম্পানির লাস্ট ট্রেড কত টাকায় হয়েছে। দেখা যাচ্ছে এই কম্পানির একটি শেয়ারের দাম সর্বশেষ ৩৩২.৪০ টাকায় হয়েছে।
২। Day's range: ঐ দিনে ঐ কম্পানির একটি শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যা। দেখা যাচ্ছে ঐ দিনে এই কম্পানিটির শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ৩৩৮ টাকা ও সর্বনিম্ন ৩২৯.৭ টাকা।
৩। Open price: যেইদিনের দাম দেখান হচ্ছে সেইদিনে ঐ কম্পানির শেয়ারের দাম কত দিয়ে শুরু হয়েছে।
৪। Yesterday close: যেইদিনের দাম দেখান হচ্ছে তার আগের দিনে শেয়ারটির লাস্ট দাম কত ছিল।
৫। Volume: মোট কতগুলো শেয়ার কেনা বেচা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে ঐ দিনে ১১০৬১৫০ টি শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। যেহেতু এই কম্পানির লট সংখ্যা ৫০ টি । তাই মোট ১১০৬১৫০/৫০=২২১২৩ টি লট কেনাবেচা হয়েছে।
৬। Total trade: ঐ দিনের মোট ট্রেড সংখ্যা।
৭। Change: আজকের লাস্ট প্রাইস ও গতকালের লাস্ট প্রাইসের পার্থক্য(৩৩২.৪-৩৩০.৯=১.৫) ও তার পার্সেন্টেজ।
৮। 52 week's range: ঐ দিন থেকে ১ বছর আগের সময়ের মধ্যে ঐ শেয়ারের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন দাম।
৯। Market lot: ঐ কম্পানির মার্কেট লট। বিস্তারিত
১০। এখান থেকে কম্পানির বিগত সময়ের শেয়ারের দাম ও ভলিউমের চার্ট দেখা যায়।

Lot কি?

শেয়ার কিনতে হলে আপনাকে লট হিসেবে কিনতে হবে। বিভিন্ন কম্পানির লট সংখ্যা বিভিন্ন।
লট হিসেবে শেয়ার কিভাবে কেনে How to buy share according to lotযেমন উপরের কম্পানিটি লক্ষ্য করলে দেখবেন যে এর মার্কেট লট (লাল দাগ দেয়া) ৫০০। এর অর্থ আপনি যদি এই কম্পানির শেয়ার কিনতে চান তবে আপনাকে একবারে ৫০০ টি শেয়ার কিনতে হবে। এই কম্পানির last trade price 55. তাই ৫০০ টি শেয়ারের দাম হবে ৫০০*৫৫=২৭৫০০ টাকা। আপনি যদি বেশি শেয়ার কিনতে চান তবে লটের গুনিতক হারে অর্থাৎ ৫০০/১০০০/১৫০০ এভাবে কিনতে হবে।শেয়ার বাজারে লট কি What is lot in share marketআবার এই কম্পানিটি লক্ষ্য করুন। এর মার্কেট লট ৫ টি। তাই আপনি যদি এই শেয়ার কিনতে চান তবে আপনাকে ৫/১০/১৫ এভাবে কিনতে হবে। আশা করি লট কি তা এখন বুঝতে পেরেছেন।



Tuesday, July 27, 2010

শেয়ার ব্যবসা কিভাবে শুরু করব? বিও একাউন্ট কি? এটি কিভাবে খোলে।

শেয়ার ব্যবসা শুরু করতে হলে প্রথমেই আপনাকে একটি BO account খুলতে হবে। ব্রোকার হাউস থেকে BO account খুলতে হয়। শেয়ার যেখানে বসে কেনা বেচা হয় তাকে ব্রোকার হাউস বলে। আপনি আপনার এলাকার বা আপনি যেখান থেকে ব্যবসা করতে চান সেরকম একটি ব্রোকার হাউসে গিয়ে BO account খুলতে পারবেন। আপনি single অথবা joint account খুলতে পারবেন। ব্রোকারকে বললে আপনাকে তারা একটি ফর্ম দিবে। ঐ ফর্মটি পুরণ করে তাদের কাছে দিতে হবে। সাথে দিতে হবে
১। ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
২।আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট ( যে ব্যাংকে আপনার একাউন্ট আছে ঐ ব্যাংকে গিয়ে চাইলেই আপনাকে তারা স্টেটমেন্টটি দেবে।
৩।একজন নমিনির ছবি।
৪। আপনার ভোটার আইডির ফটোকপি।
বিভিন্ন ব্রোকার বিভিন্ন ডকুমেন্ট চেতে পারে। তাই তাদের কাছ থেকে ঠিকভাবে সবকিছু জেনে নিন। BO account খোলার জন্য ব্রোকাররা ৫০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত চার্য করে থাকে।

আমি শেয়ার বাজার সম্বন্ধে কিছুই জানি না। আমি কিভাবে শুরু করতে পারি?

শেয়ার ব্যবসা কি করে করতে হয় শিখুনঃ
আমি শেয়ার বাজার সম্বন্ধে কিছুই জানি না। আমি কিভাবে শুরু করতে পারি? অথবা আমি শুনেছি শেয়ার ব্যবসা শিখতে পারলে রাতারাতি আমি ধনী হয়ে যাবো। এ ধরনের প্রশ্ন প্রথম বাজারে আসা সকল লোকের কাছে কমন।  শেয়ার বাজারে প্রথমে যারা ব্যবসা করতে আসে তারা কিছু না জেনেই আসে। অনেকে এই অজ্ঞতা সহই মার্কেটে ঢুকে পড়ে এবং ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে ফিরে আসে। তাই শেয়ার বাজারে ঢোকার আগে কেউ যদি একটু শিখে ঢুকে তবে তার লস খাওয়ার চান্স কম থাকে। তাই একেবারে নতুনদের জন্য আমি আমার ব্লগটি লিখছি।

এখানে একটি একাউন্ট খুলে শেয়ার মার্কেটে কেনাবেচা প্রাকটিস করুন।